ঢাকা ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপদেষ্টা মাহফুজের বাবার ওপর হামলা: ছাত্রদল ও যুবদল নেতা আটক জামিরতলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা জামিরতলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৩নং দিঘলী ইউনিয়নের জামিরতলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দোয়া ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় এ বিদ্যালয়ে এক হৃদয়ছোঁয়া বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলায়তের মাধ্যমে আয়োজন শুরু হয়৷ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথিবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়৷ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুক তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “তোমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা গর্বিত। তোমাদের সাফল্যই আমাদের প্রাপ্তি।” বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ফারুক (বিএসসি) বলেন, “এই বিদ্যালয়ের স্মৃতি আমাদের জীবনের অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে। এখানকার শিক্ষকরা শুধু পাঠ নয়, জীবনের মূল্যবোধও শিখিয়েছেন।” অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও সহকারী শিক্ষকদের অনেকেই বক্তব্য রেখেছেন৷ অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল গান, ইসলামী গজল ও কবিতা৷ এছাড়া বিদায়ী শিক্ষার্থীদের হাতে স্মারক ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়। এর আগে সকাল ৯টায় মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়, যাতে তারা আগামীর জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারে। লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে বিএনপিকর্মী নিহত লক্ষ্মীপুরে শিশুকে গুলি করার ঘটনায় গ্রেফতার ১ নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি : জিয়ার পথে ইউনূস তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজের বাবার ওপর হামলা লক্ষ্মীপুরে বাস ও অটোরিক্সা মুখোমুখি সংঘর্ষ,মা-ছেলে নিহত হাসিনার বিচার যত দ্রুত হবে, তত দ্রুতই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে: এ্যানি ইউসুপপুর ক্রীড়া সংঘের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি

স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি : জিয়ার পথে ইউনূস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক,

সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্থান ঘটে জিয়াউর রহমানের। শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় শাসন কায়েমের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তোলেন।

পরে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ তৈরি করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করেন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের দুঃশাসনে দুর্বল ও ভঙ্গুর এক দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান, যে দেশ ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে সারা দুনিয়ায় পরিচিত হয়েছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও হতাশ এক জাতির প্রতিচ্ছবি হিসেবে। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়, তা পূরণ হয়েছিল জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নীতির মাধ্যমে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।

শেখ মুজিবুর রহমানের তিন বছরের কম সময়ের শাসনে সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশের ছিল না কোনো স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি। স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে দুই পরাশক্তির প্রতিযোগিতায় সোভিয়েত ব্লকের দিকে ঝুঁকে ছিল বাংলাদেশ। ফলে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ছিল অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। বাংলাদেশকে সে সময় দেখা হতো ভারতের স্যাটেলাইট রাষ্ট্র হিসেবে।

জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষ যেন আত্মমর্যাদা ফিরে পেতে শুরু করে। এর প্রতিফলন ঘটে পররাষ্ট্রনীতিতে। রুশ-ভারত অক্ষশক্তির বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ অনুসরণ করে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি। ১৯৭৭ সালের ১ আগস্ট জিয়াউর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অর্জন হলো এই যে, বাংলাদেশ এখন তার জাতীয় স্বার্থে নিজেই নিজের স্বার্থ গ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে নীতি প্রণয়নের মতো অবস্থানে পৌঁছেছে।’

জিয়াউর রহমানের আমলে পররাষ্ট্রনীতিতে সবচেয়ে তাপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আসে চীন ও মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে। তিনি ভারতের প্রভাববলয় থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব প্রদান করেন। এ সময় উজানে গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করা হয় এবং বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সহায়তাক্রমে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে থাকে। চীন সরকার পানি প্রত্যাহার ও সীমান্ত ঘটনাবলি নিয়ে সরকারিভাবে ভারতের ভূমিকার নিন্দা জানায়। এ সময় বাংলাদেশে সেচ প্রকল্পে সহায়তা দিতে ১৯৭৬ সালের ডিসেম্বরে চীনের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করে। এর আগে নভেম্বরে জাতিসংঘে বাংলাদেশ ফারাক্কা ইস্যু উত্থাপন করলে চীন তাতে পূর্ণ সমর্থন জানায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জামিরতলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৩নং দিঘলী ইউনিয়নের জামিরতলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দোয়া ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় এ বিদ্যালয়ে এক হৃদয়ছোঁয়া বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলায়তের মাধ্যমে আয়োজন শুরু হয়৷ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথিবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়৷ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুক তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “তোমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা গর্বিত। তোমাদের সাফল্যই আমাদের প্রাপ্তি।” বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ফারুক (বিএসসি) বলেন, “এই বিদ্যালয়ের স্মৃতি আমাদের জীবনের অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে। এখানকার শিক্ষকরা শুধু পাঠ নয়, জীবনের মূল্যবোধও শিখিয়েছেন।” অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও সহকারী শিক্ষকদের অনেকেই বক্তব্য রেখেছেন৷ অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল গান, ইসলামী গজল ও কবিতা৷ এছাড়া বিদায়ী শিক্ষার্থীদের হাতে স্মারক ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়। এর আগে সকাল ৯টায় মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়, যাতে তারা আগামীর জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারে।

স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি : জিয়ার পথে ইউনূস

আপডেট সময় : ০৬:২৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,

সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্থান ঘটে জিয়াউর রহমানের। শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় শাসন কায়েমের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তোলেন।

পরে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ তৈরি করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করেন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের দুঃশাসনে দুর্বল ও ভঙ্গুর এক দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান, যে দেশ ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে সারা দুনিয়ায় পরিচিত হয়েছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও হতাশ এক জাতির প্রতিচ্ছবি হিসেবে। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়, তা পূরণ হয়েছিল জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নীতির মাধ্যমে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।

শেখ মুজিবুর রহমানের তিন বছরের কম সময়ের শাসনে সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশের ছিল না কোনো স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি। স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে দুই পরাশক্তির প্রতিযোগিতায় সোভিয়েত ব্লকের দিকে ঝুঁকে ছিল বাংলাদেশ। ফলে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ছিল অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। বাংলাদেশকে সে সময় দেখা হতো ভারতের স্যাটেলাইট রাষ্ট্র হিসেবে।

জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষ যেন আত্মমর্যাদা ফিরে পেতে শুরু করে। এর প্রতিফলন ঘটে পররাষ্ট্রনীতিতে। রুশ-ভারত অক্ষশক্তির বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ অনুসরণ করে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি। ১৯৭৭ সালের ১ আগস্ট জিয়াউর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অর্জন হলো এই যে, বাংলাদেশ এখন তার জাতীয় স্বার্থে নিজেই নিজের স্বার্থ গ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে নীতি প্রণয়নের মতো অবস্থানে পৌঁছেছে।’

জিয়াউর রহমানের আমলে পররাষ্ট্রনীতিতে সবচেয়ে তাপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আসে চীন ও মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে। তিনি ভারতের প্রভাববলয় থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব প্রদান করেন। এ সময় উজানে গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করা হয় এবং বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সহায়তাক্রমে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে থাকে। চীন সরকার পানি প্রত্যাহার ও সীমান্ত ঘটনাবলি নিয়ে সরকারিভাবে ভারতের ভূমিকার নিন্দা জানায়। এ সময় বাংলাদেশে সেচ প্রকল্পে সহায়তা দিতে ১৯৭৬ সালের ডিসেম্বরে চীনের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করে। এর আগে নভেম্বরে জাতিসংঘে বাংলাদেশ ফারাক্কা ইস্যু উত্থাপন করলে চীন তাতে পূর্ণ সমর্থন জানায়।